সোনারগাঁয়ের খবর

সোনারগাঁয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোসহ নানা আয়োজনে ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে সোনারগাঁ উপজেলাবাসী।

শনিবার এই দিবসটি উপলক্ষে প্রথম প্রহরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের করে সারাদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। এদিকে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নানের উদ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার ৫১তম দিবসে আলোচনা সভা করেন। ঐ আলোচনা সভায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিবের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী করেন।

এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভাসহ সারাদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে।

সোনারগাঁ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দোয়া ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বক্তব্য প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মাজে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।এ সময় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্য জন্নাত লাভের দোয়া করেন। তার আগে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোনারগাঁ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের
ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যান্য শ্রেষ্ঠ ভাষণ থেকে উজ্জ্বল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ছিল। এ ভাষণ নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে রাতারাতি সশস্ত্র করে তোলে। একটি ভাষণকে অবলম্বন করে স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ বাঙালি জীবন উৎসর্গ ও কয়েক লাখ মা–বোন সম্ভ্রম বিসর্জন দেন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালে এ ভাষণ (বজ্রকণ্ঠ) রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করে। বলা যায়, এই একটি ভাষণ একটি জাতিরাষ্ট্র, বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে, যা বিশ্বে নজিরবিহীন। ৯ মাসব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর এ কৌশল বা অবস্থান বাংলাদেশ সংগ্রামের পক্ষে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে।

যার ফলে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বার্তা হিসেবে ইউনেস্কোর Memory of the World Register- এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
স্বীকৃতি পেয়েছে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি। সম্প্রতি ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস: দ্য স্পিচেস দ্যাট ইনস্পয়ার্ড হিস্টরি (লন্ডন, ২০১৩) শিরোনামে মানবজাতির ইতিহাসের ২৫০০ বছরের ৪১ জন জাতীয় বীরের ভাষণ নিয়ে একটি বই সংকলন করেছেন। তাতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ভাষণকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ১৮৬৩ সালের বিখ্যাত গেটিসবার্গ বক্তৃতার সঙ্গে তুলনা করা যায়।

Related Articles

Back to top button