সংবাদ মাধ্যম

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে লিখে সাংবাদিকের শান্তিতে নোবেল

নিউজ ডেস্ক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন- ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।

নোবেল কমিটি এ যুগলকে এমন ভূমিকা রাখায় ”সব সাংবাদিকের প্রতিনিধি” হিসেবে অভিহিত করেছেন।

৫৮ বছর বয়সী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা সিএনএনে কাজ করে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন। প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন সিএনএনের দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার প্রধান অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে।

এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য তার নাম পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী জোনাস গহর স্টের। মারিয়া রেসার অবদান প্রসঙ্গে নোবেল কমিটির মন্তব্য, তিনি জন্মস্থান ফিলিপাইনে ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতা ও ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।

তার সাংবাদিকতার জীবনের দিকে ফিরে তাকালে উল্লেখযোগ্য দিক হিসেবে উঠে আসবে দেশটির প্রেসিডেন্ট দুতার্তের নানা প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা।

মারিয়া রেসা ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম র্যাপলারের সহপ্রতিষ্ঠাতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে র্যাপলারের ৪৫ লাখ অনুসারী রয়েছে।

বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। শুরু থেকে এই সংবাদমাধ্যমের প্রাণভোমরা হিসেবে কাজ করেছেন রেসা।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তের জনবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং নীতির কড়া সমালোচনাকারী অন্যতম সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় রয়েছে র্যাপলার।

বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নারী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে এ সংবাদমাধ্যমটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধেও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে প্রতিষ্ঠানটি।

এ জন্য একাধিক হুমকি- ধমকি ও মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে। মারিয়া রেসা ও র্যাপলারকে অপরাধীও সাব্যস্ত করে দেশটির আদালত। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে ব্যবসায়ী উইলফ্রেডো কেং সম্পর্কিত একটি মিথ্যা সংবাদ র্যাপলারে প্রকাশ করার অভিযোগে তাকে সাইবারলাইবেলের জন্য গ্রেফতার করা হয়।

পরের বছর ১৫ জুন ম্যানিলার একটি আদালত তাকে সাইবারলাইবেলের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। রেসাকে বিশ্বের ভুয়া সংবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন সাংবাদিকদের একজন হিসেবে টাইমস পারসন অব দ্য ইয়ার ২০১৮ তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

Related Articles

Back to top button