নির্বাচনের খবর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন; সোনারগাঁয়ের চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক :



দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩, আসন সোনারগাঁয়ে চলছে উৎসব ও উৎকণ্ঠার মাঝেই প্রচার প্রচারনা। এ আসনে ভোটের লড়াইয়ে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হলেও মূল লড়াই হবে নৌকা আর লাঙ্গল এর মধ্যেই। বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা ও সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আব্দুল্লাহ আল কায়সারের মধ্যে। তবে ভোটাররা নৌকার প্রার্থীকেই এগিয়ে রাখছেন।

এছাড়াও এই আসনে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছেন এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), মো. আসলাম হোসাইন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারার বাংলাদেশ), মো, মজিবুর রহমান (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), এএইচএম মাসুদ (স্বতন্ত্র), মুক্তিজোটের মো. আরিফ। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এএইচএম মাসুদ। তাই কাগজ কলমে ৮ প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে ৭ জন।
সরেজমিনে দেখাযায়, এই দুই দলের নেতা-কর্মীদের মাঝেই জমে উঠেছে নির্বাচনের উত্তেজনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হামলার ঘটনাও। দুই প্রার্থীকেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তলবও করেছিল। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিললেও সোনারগাঁয়ের মানুষ এবার পরিবর্তনের পক্ষে এমনি চিত্র দেখা গেছে সোনারগাঁ ঘুরে।

অপরদিকে সোনারগাঁয়ের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বাহিরে সাধারণ ভোটারদের মাঝে নেই কোন নির্বাচনের উত্তাপ। বিরাজ করছে নানা আতঙ্ক। সাধারণ ভোটারদের বা মানুষের জটলায় কিংবা চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচন নিয়ে বিরূপ আলাপ আলোচনা ও সমালোচনা। কাকে ভোট দিবেন তা নিয়ে ভোটাররা শুরু করেছেন অঙ্ক কষার পাশাপাশি ভোট দিতে কেন্দ্রে না গেলে কি হবে? পুলিশ কি ধরে নিয়ে যাবে? এই নির্বাচনে কি প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের কোন সুযোগ আছে ? দেশ কোন নিষেধাজ্ঞায় পরবেন কি না? অর্থনৈতিক মন্দায় টাকার মান কমলে কি হবে!
সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও এলাকার রিকশা চালক আক্তার বলেন- আরে মিয়া, আমরা কোন মানুষই না, আমরা যদি মানুষই হইতাম, তাইলে আমাদের মতামতের দাম থাকতো! আমগো আবার ভোট দেয়া লাগবো নাকি?

সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর এলাকার মামুন নামের একজন চাকুরীজীবী বলেন- একপক্ষ নির্বাচনের আমেজে আছে, আরেক পক্ষ মাঠেই নেই। এভাবে তো জাতীয় নির্বাচন জমে না।

দেশটির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় মাঠ পর্যায়ে এখন পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের কোন আমেজ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
সোনারগাঁও পৌরসভার চাল বিক্রেতা ফয়সাল বলেন, ধরেন আমরা এখানে দশটা লোক বসে আছি পাঁচ দলের। সবাই যদি ইলেকশন করতো, তাহলে সবার মনে একটা হাসিখুশি ভাব থাকতো। এখন আপনি একা ইলেকশন করতিছেন, তাইলে আমরা তো সব বোবা।

Related Articles

Back to top button